সাম্প্রতিক একটি দুঃখজনক ঘটনায়, ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় শিশুসহ অন্তত ১৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েলি বিমান হামলা গাজার কেন্দ্রীয় অংশে অবস্থিত নুসিরাত শরণার্থী শিবিরের একটি ভবনে আঘাত হানে।
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে যে নুসিরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় ১৪ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে।
এই হামলার ফলে শিশুসহ হতাহতের ঘটনা ঘটে এবং আরও অনেকে আহত হয়। ক্যাম্পের দক্ষিণাঞ্চলে একটি তিনতলা বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার প্রকাশ করেছে যে গত অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের চলমান হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মোট সংখ্যা দুঃখজনকভাবে ৩০,০৯১ জনে এ পৌঁছেছে, কমপক্ষে ৭৮,৮২৭ জন আহত হয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় ৫৭ জন নিহত এবং ৮২ জন আহত হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা চলছে, অনেক লোক এখনও ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে আছে এবং সাহায্যের অপেক্ষায় রয়েছেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস দ্বারা সংঘটিত একটি উল্লেখযোগ্য আন্তঃসীমান্ত আক্রমণের পর থেকে, ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় তার নিরলস বিমান ও স্থল হামলা অব্যাহত রেখেছে।
এই হামলার ফলে হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ এবং গীর্জা সহ হাজার হাজার ভবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
চলমান ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে বিধ্বস্ত করে ফেলেছে, জাতিসংঘের মতে এর প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি জনসংখ্যা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
উপরন্তু, আন্তর্জাতিক বিচার আদালত পরিস্থিতির তীব্রতা তুলে ধরে ইসরায়েলকে গণহত্যার জন্য অভিযুক্ত করেছে।
গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি বিমান হামলার ফলে নিষ্পাপ শিশুসহ মর্মান্তিক প্রাণহানি ঘটেছে। এই অঞ্চলে চলমান সহিংসতা আরও দুর্ভোগ ও ধ্বংসাত্মক হামলা প্রতিরোধের জন্য শান্তিপূর্ণ সমাধানের জরুরী প্রয়োজনীয়তার উপর জাতিসংঘ সপূর্ণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।