সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলে এক যুবকের মাছ ধরে কোটিপতি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তিনি যে মাছ ধরেছিলেন তাকে বারামুন্ডি মাছ বলে। যদিও এই মাছটির উচ্চ বাজারমূল্য ছিল না, তবে এ মাছটি অনন্য ছিল কারণ এর সাথে একটি বিশেষ শনাক্তকরণ যন্ত্র সংযুক্ত ছিল।
‘মিলিয়ন ডলার ফিশ’ নামে একটি প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে এই মাছ নদীতে অবমুক্ত করা হয়। প্রতিযোগিতায় যে কেউ এই বিশেষ মাছ ধরতে পারেলে তাকে ১ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। যা প্রায় ৭ কোটি ৭০ লাখ ৪১ হাজার বাংলাদেশি টাকা (১ অস্ট্রেলিয়ান ডলার = ৭৭ টাকা)।
রাজ্যে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ৯ বছর ধরে ‘মিলিয়ন ডলার ফিশ’ প্রতিযোগিতা চলছে। প্রতি অক্টোবর মাসে বিশেষভাবে ট্যাগযুক্ত শত শত মাছ নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুরস্কারের পরিসীমা ১০,০০০ থেকে ১ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। প্রতিযোগিতাটি সাধারণত মার্চ মাসে শেষ হয়, তবে এ বছর এই প্রতিযোগিতা এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। আশ্চর্যের বিষয় হলো, প্রতিযোগিতার শেষ দিনে মাছ ধরার রড ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকার মাছ ধরে ফেললেন এই যুবক।
রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যাওয়া ভাগ্যবান যুবক হলেন কিগান পেইন, যার বয়স মাত্র ১৯ বছর। কিগান ক্যাথরিনের একজন বাসিন্দা। প্রাথমিকভাবে, তিনি যে মাছটি ধরেছিলেন তা তেলাপিয়া বলে মনে করেছিলেন। পরে যখন তার বোন, অ্যাডিসন মাছটির উপর ছোট শনাক্তকরণ যন্ত্রটি লক্ষ্য করেছিলেন এবং তারা এর আসল মূল্য বুঝতে পেরেছিলেন। তারা প্রতিযোগিতা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে, এবং দ্রুত একটি প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করে আর কিগানকে ১ মিলিয়ন ডলারের একটি চেক প্রদান করে।
অর্থের জন্য কিগানের পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, কিগান বলেন, ‘আমাদের আট সদস্যের একটি বড় পরিবার রয়েছে। সুতরাং, এই পরিমাণ অর্থ আমাদের কল্পনার বাইরে। আমি রোমাঞ্চিত এবং কৃতজ্ঞ। এই অর্থ দিয়ে আমি যা চাই তা কিনতে পারি, এবং আমি আমার বাবা-মায়ের বসত বাড়ির ঋণ পরিশোধের জন্য কিছু অর্থ ব্যবহার করব।’