রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং পাপনের অন্তর্ধান
বাংলাদেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর সাবেক যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন লোকচক্ষুর আড়ালে। ৫ আগস্ট, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে পদত্যাগ করেন এবং তারপর থেকে, পাপনের অবস্থান অজানা ছিল।
পাপনের অবস্থান সম্পর্কে জল্পনা
গুজব শোনা যাচ্ছে যে পাপন ইংল্যান্ডে থাকতে পারেন, তবে কিছুই নিশ্চিত করা হয়নি। বিসিবির একজন প্রধান পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন উল্লেখ করেছেন যে সরকার পতনের পর থেকে পাপনের সাথে তার কোনো যোগাযোগ নেই।
সুজন বলেছেন, “আমি পাপন ভাইয়ের কাছে পৌঁছাতে পারিনি। আমি জানি না তিনি কোথায় আছেন এবং আমি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তিনি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবি সভাপতি কিন্তু পদত্যাগ করেননি।”
বিসিবি নেতৃত্বের ভবিষ্যত প্রশ্নবিদ্ধ
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এখন বিসিবির নেতৃত্বের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সম্প্রতি বিসিবির একাধিক পরিচালক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে আসিফ মাহমুদের সঙ্গে দেখা করেছেন। আসিফ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে বিসিবির নেতৃত্বে পরিবর্তন হতে পারে আইনি গণ্ডির মধ্যে।
তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, “যেহেতু বিসিবি আইসিসির অধীনে একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, তাই আমরা পরামর্শ দিয়েছি যে বিসিবি পরিচালকরা অভ্যন্তরীণভাবে এই সমস্যাটি সমাধান করতে পারেন এবং অস্থায়ীভাবে কাউকে নিয়োগ দিতে পারেন। তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।”
মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে ঘিরে অনিশ্চয়তা
৩ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া এই বছরের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক বাংলাদেশ। তবে বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশটির টুর্নামেন্ট আয়োজনের ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও খালেদ মাহমুদ আশাবাদী। তিনি বলেন, “আমি চাই বিশ্বকাপ বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হোক। দেশের ভাবমূর্তি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি সফলভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারি, তা হবে একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। না হলে তা হবে দুর্ভাগ্যজনক।”
Read More: আবু সাঈদের মর্মান্তিক মৃত্যু কোটা সংস্কার প্রতিবাদ করতে গিয়ে
Read More: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চলমান আন্দোলনের ভুল প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে