প্রথমে অনেক চেষ্টা করেও গোল করতে পারেনি জার্মানি। এদিকে প্রথমার্ধে মাত্র এক শটে গোল করে এগিয়ে যায় সুইজারল্যান্ড। তবে শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি পাল্টে যায়। জার্মানির নিকলাস ফুয়েলখুগের দুর্দান্ত হেডারে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ বিজয়ী হয়ে তিনবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়।
রোববার রাতে ফ্রাঙ্কফুর্টে ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। ড্যান এনডয়ে সুইজারল্যান্ডকে প্রথম দিকে এগিয়ে দেওয়ার পর অতিরিক্ত সময়ে সমতাসূচক গোলটি করেন ফুয়েলখুগ।
দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে জার্মানি। নকআউট পর্বে চলে যাওয়া সুইজারল্যান্ড একটি জয় ও দুটি ড্র থেকে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
সুইস কোচ বলেছেন, রক্ষণাত্মকভাবে খেলার চেয়ে তিনি প্রতিযোগিতায় লড়াই উপভোগ করেছেন। প্রথম ৩০ মিনিটের মধ্যেই লিড নিয়ে শুরু করেন তারা।
গ্রুপে জয়ের জন্য জার্মানি আক্রমণাত্মক খেলে ম্যাচটি শুরু হয় ভিন্নভাবে। ১৬তম মিনিটে হোবার্ট উন্দ্রিস দূর থেকে গোল করতে দেখা গেলে তারা উদযাপন করে। তবে ভিএআর গোলটি বাতিল করে দেয় কারণ উন্দ্রিস গোল করার আগে জামাল মুসিয়ালাকে ফাউল করা হয়।
জার্মানির ক্রমাগত আক্রমণ সত্ত্বেও, সুইজারল্যান্ড তাদের প্রথম শটে গোল করে। ২৮তম মিনিটে রেমো ফ্রেউলারের ছয় গজ বক্সের বাম দিক থেকে বল জালে জড়ান ড্যান এনডয়ে।
প্রথমার্ধের বাকি সময় জার্মানি আক্রমণ চালিয়ে গেলেও তাদের সাতটি শটের একটিও কার্যকর হয়নি। লক্ষ্যে ছিল মাত্র একটি শট।
দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে আরেকটি সুযোগ পায় জার্মানি। ফ্লোরিয়ান উইর্টজের বল থ্রু করার পর মুশিয়ালার জোরালো শট আটকে দেন ইয়ান সোমার।
৭০তম মিনিটে আবারও সুইজারল্যান্ডকে চাপে ফেলে জার্মানি। ডিফেন্ডার ম্যানুয়েল আকানজি দক্ষতার সাথে কাই হাভার্টজের ক্লোজ রেঞ্জের শট আটকান।
৮৩তম মিনিটে রুবেন ভার্গাস ভেবেছিলেন তিনি দুর্দান্ত পাল্টা আক্রমণের পরে গোল করেছেন, কিন্তু তিনি অফসাইড ছিলেন। দুই মিনিট পরে হাভার্টজ একটি সুযোগ মিস করেন ক্রসবারের উপর দিয়ে শ্যুট করে।
গ্রানিত জাকার শক্তিশালী শট ম্যানুয়েল ন্যুয়ারের হাতে সেভ হলে সুইজারল্যান্ডের আরেকটি চেষ্টা ছিল। জার্মানির কাছে তখনও হার এড়ানোর সুযোগ ছিল।
যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ফুয়েলখুগ তা ঘটিয়েছে। ডেভিড রাউমের ক্রস থেকে দুর্দান্ত হেডারে গোল করেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ফরোয়ার্ড।
‘এ’ গ্রুপের অন্য ম্যাচে হাঙ্গেরি স্কটল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ছয়টি গ্রুপ থেকে চারটি সেরা তৃতীয় স্থানে থাকা দলের নকআউট পর্বে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।