আইপিএল এর দুই মাসের মৌসুম শেষ হয়েছে। কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) ফাইনাল ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ৮ উইকেটে জিতেছে।
এই নিয়ে কেকেআরের তৃতীয় শিরোপা জয়। ট্রফির দিক থেকে চেন্নাই এবং মুম্বাইয়ের পাশাপাশি কলকাতা এখন আইপিএল ইতিহাসের অন্যতম সফল দল।
কলকাতা ও হায়দ্রাবাদের ম্যাচটি শুধু একটি ট্রফি জেতার জন্য লড়াই ছিল না, ছিল ভালো পরিমাণ টাকা ও পুরস্কার নিজের নামে করার লড়াই। কলকাতা চ্যাম্পিয়ন হিসাবে ও হায়দ্রাবাদ রানার্স আপ হিসাবে এবং রাজস্থান রয়্যালস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সাথে যারা প্লে অফে জায়গা করে নিয়েছে সবাই পুরস্কারের একটি ভালো অংশ পেয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমস অনুসারে, এই বছরের আইপিএলে ১০ টি দলের মোট অংশগ্রহণের ফি ছিল ৪৬৫ মিলিয়ন ভারতীয় রুপি। দলের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে এই অর্থ বণ্টন করে হয়।
বিজয়ী কলকাতা নাইট রাইডার্স পেয়েছে ২০ কোটি রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৮ কোটি টাকারও বেশি।হায়দ্রাবাদ ২০১৬ সাল থেকে আরও একটি ট্রফির নিজের নামে করার অপেক্ষায় এবার রানার্স আপ হিসাবে ১২ কোটি ৫০ লক্ষ রুপি পেয়েছে।
তাছাড়া রাজস্থান রয়্যালস, যারা প্লে অফে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে তারা পেয়েছে ৭ কোটি রুপি এবং বেঙ্গালুরু পেয়েছে ৬ কোটি ৫০ লক্ষ রুপি।
টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৭৪১ রান করার জন্য অরেঞ্জ ক্যাপ জিতেছেন বিরাট কোহলি। পাঞ্জাবের হারশাল প্যাটেল সর্বাধিক ২৪ উইকেট নেওয়ার জন্য পার্পল ক্যাপ জিতেছেন। তারা প্রত্যেকে তাদের কৃতিত্বের জন্য ১০ লাখ রুপি পুরুষ্কার হিসেবে পেয়েছে।
সুনীল নারাইন ব্যাট এবং বল উভয় ক্ষেত্রেই তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড় (টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়) হিসেবে পুরস্কৃত হন। তিনি ৪৮৮ রান করেন এবং ১৭ উইকেট নিয়ে তৃতীয়বারের মতো মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় হন। নারিন ২০ লক্ষ রুপি নগদ পুরস্কার পেয়েছেন। হায়দরাবাদের নিতীশ কুমার রেড্ডি টুর্নামেন্টের উদীয়মান খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ১২ লক্ষ রুপি পুরস্কার পান।