নাহার প্লাজায় লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ
ঢাকার হাতিরপুল এলাকায় নাহার প্লাজার অফিস কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম সেজানুর রহমান (২৩)। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ
মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে সেজানুর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। সেজানুর ঢাকার একটি লিফট ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিতে নির্বাহী বিক্রয় কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করতেন।
শাহবাগ পুলিশের কাছ থেকে বিস্তারিত
শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মোনায়েম জানান, শুক্রবার বিকেলে নাহার প্লাজার নবম তলার একটি অফিস কক্ষ থেকে সেজানুরের মরদেহ পাওয়া যায়। গলায় তারের সঙ্গে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল তার মরদেহ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সেজানুরের পারিবারিক পটভূমি
এসআই মোনায়েম জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হলে গত মঙ্গলবার সেজানুর বাড়ি থেকে বের হয়। তিনি বাড়িতে একটি চিরকুট রেখে যান এবং তারপর থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে।
পুলিশ তদন্ত
সেজানুর আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ইভেন্টগুলি আবিষ্কারের দিকে নিয়ে যায়
শুক্রবার বিকেলে প্রতিষ্ঠানের মালিক অফিসে গিয়ে দরজা বন্ধ দেখতে পান। ধাক্কা দিয়ে সেজানুরের কোনো সাড়া না পেয়ে তালা খুলে দেওয়া হয়। তখন মালিক সেজানুরের লাশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন।
নিয়োগকর্তার বিবৃতি
প্রতিষ্ঠানটির মালিক পারভেজ বাবু জানান, সেজানুর ছয় মাস আগে বিয়ে করলেও তার স্ত্রী এখনো তার সঙ্গে সংসার করেনি। বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে গত মঙ্গলবার নিজ শহর থেকে ঢাকায় আসেন সেজানুর।
সেজানুরের পরিবার ও বাসস্থান
সেজানুরের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলায়। তার পিতার নাম মোঃ জালাল মুন্সী। মৃত্যুর সময় সেজানুর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল দরবার শরীফ রোডে পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন। তিনি দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট ছিলেন।