পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদকে তলব করা হলেও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) যাননি। তিনি অতিরিক্ত ১৫ দিনের জন্য অনুরোধ করেছিলেন, যা এই রবিবার শেষ হবে।
আজ দুপুর ১টা ১৫ মিনিটের মধ্যে বেনজীর আহমেদ হাজির হননি বলে দুদক সূত্র নিশ্চিত করেছে। দুদক এখনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি তবে আজ বিকেলে সাংবাদিকদের জানাতে পারে।
গত ২৮ মে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও সন্তানদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল দুদক। নোটিশে বেনজীর আহমেদকে ৬ জুন এবং তার স্ত্রী ও সন্তানদের ৯ জুন হাজির হতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৫ জুন বেনজীর আহমেদ তার আইনজীবীর মাধ্যমে আরও ১৫ দিন সময় চেয়ে আবেদন করেন। এদিন দুদক কমিশনার জহুরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আমি শুনেছি দুদকের তদন্ত দলের কাছে বেনজি ১৫ দিনের সময় চেয়েছেন। আইন অনুযায়ী তাকে সময় দেওয়া হবে।
এর আগে জহুরুল হক উল্লেখ করেছিলেন যে দুদক নোটিশ জারি করলেও ব্যক্তি হাজির হতে বাধ্য কিনা তা স্পষ্ট নয় আইনে। যদি তারা হাজির না হয় তবে ধরে নেওয়া যেতে পারে তাদের বলার কিছু নেই।
দুদকের অনুসন্ধানে ঢাকায় ১২টি ফ্ল্যাট, বিভিন্ন জেলায় ৬৯৭ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার, ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব এবং বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে ৩টি বিও অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, আদালতের আদেশ জারি হওয়ার আগেই বেনজীর আহমেদ ৪ মে দেশ ত্যাগ করেন।
বেনজীর আহমেদ ১৫ এপ্রিল, ২০২০ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার এবং র্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেনজীর আহমেদ সহ সাতজন র্যাব কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, আইজিপি হিসাবে তার মেয়াদকালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে।