বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ক্রীড়াবিদদের যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। তাদের ফুসলানোর জন্য মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। অন্য একজন মহিলা ক্রীড়াবিদ তাকে এই ক্রিয়াকলাপে সহায়তা করেছিলেন।
শনিবার রাজধানীর মিরপুরে অভিযান চালিয়ে রফিকুল ও তার সহযোগীকে আটক করা হয়। রফিকুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন এক নারী ক্রীড়াবিদ।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম বিভাগের কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেছেন যে, ভিকটিম, রফিকুল ও সহকারী নারী সঙ্গে জুজুতসু প্রশিক্ষণ দিত। প্রশিক্ষণ শেষে ভিকটিমের চেঞ্জিং রুমে গিয়ে রফিকুল তাকে ধর্ষণ করে। মহিলা সহকর্মী ঘটনাটি রেকর্ড করেন। এরপর রফিকুল ভিকটিমকে রাজধানীর একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করে, প্রতিবাদ করলে ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
র্যাবের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, রফিকুল একজন জুজুৎসু প্রশিক্ষক এবং রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক। সমিতির অধিকাংশ প্রশিক্ষণার্থী নারী। রফিকুল এসব প্রশিক্ষণার্থীকে উচ্চ পদ ও বিদেশ ভ্রমণের সুযোগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব আরও উল্লেখ করে যে, রফিকুল তার অসদাচরণের কারণে গর্ভবতী হলে তরুণী খেলোয়াড়দের গর্ভপাত করতে বাধ্য করাসহ অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।