শহরের কদমাতলী এলাকায় একটি বিখ্যাত ব্র্যান্ডের মতো দেখতে নকল পানীয় ও ফলের জুস তৈরির কারখানা ছিল। তাদের আরও একটি কারখানা ছিল যেটি নকল স্যালাইন সলিউশন তৈরি করে।
তারা এসব পণ্য তৈরিতে স্যাকারিন, নকল ফ্লেভার এবং নিম্নমানের চিনি ও রাসায়নিকের মতো সস্তা উপাদান ব্যবহার করেছে। এগুলো তৈরির পর ফরিদপুর, চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠায়।
এসব নকল পণ্য তৈরি ও বিক্রির অভিযোগে মঙ্গলবার ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার ও বিশেষ অপরাধ বিভাগ।
তাদের কাছে অনেক নকল জুস, স্যালাইন এবং এগুলো তৈরিতে ব্যবহৃত উপকরণ পাওয়া গেছে। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
গ্রেফতারকৃতরা কারখানার মালিক হিসেবে পরিচয় দেন। তাদের নাম হলো আনোয়ার হোসেন (৩৮), শাহ নেওয়াজ খান (৩৩), মোরশেদুল ইসলাম (৫১), সবুজ মিয়া (২৩), মো: আরিফ (২৩) ও হানিফ (৩০)।
পুলিশ জানায়, নকল পানীয় তৈরির কারখানার মালিক আনোয়ার হোসেন ফেসবুকে নকল ড্রিংকো, ফ্রুটো এবং আমের ফলের জুস ২৫-৪০ শতাংশ ছাড়ে বিক্রি করতেন। তিনি মিটফোর্ড এলাকা থেকে উপকরণ এবং লোগো পেয়ে দুই বছর ধরে ব্যবসা করেছিলেন।
অফিসার হারুন অর রশিদ ব্যাখ্যা করেছেন যে লোকেরা প্রায়শই ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে পানি বের হয়ে যাওয়ায় স্যালাইন খায়।
কিন্তু নকল স্যালাইনটি সঠিকভাবে তৈরী করে না যারফলে আপনার হৃদপিন্ড এবং লিভারের ক্ষতি করতে পারে এবং এমনকি মৃত্যুর কারণও হতে পারে। এ রাসায়নিক পানি আপনার মস্তিষ্ক, কিডনি এবং হার্টেরও ক্ষতি করতে পারে।