শিক্ষকরা ১০৩তম বার্ষিকী অনুষ্ঠান এড়িয়ে যান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষক সমিতির প্রধানরা। সর্বজনীন পেনশন গ্যারান্টি স্কিম বাতিলের দাবিতে তাদের বৃহত্তর আন্দোলনের অংশ এই পদক্ষেপ।
মূল ব্যক্তিত্বের অনুপস্থিতি
সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দেননি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা।
মিশ্র অংশগ্রহণ
বয়কট সত্ত্বেও বহু শিক্ষক বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এদিকে জিনাত হুদার নেতৃত্বে একটি দল কলা ভবন গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনুপস্থিতি
শিক্ষকরা উল্লেখ করেন, সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া অসুস্থতার কারণে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেননি।
সরকারী বিবৃতি
প্রফেসর জিনাত হুদা বয়কটের কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, “১লা জুলাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। তবে আমাদের সম্পূর্ণ কাজ স্থগিত থাকায় আমরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারিনি। প্রতীকীভাবে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মহোদয় অংশগ্রহণ করেননি, কিন্তু যারা যেতে চেয়েছিল তাদের আমরা থামাইনি।”
বিশ্ববিদ্যালযয়ের সকল কার্য স্থগিত
সোমবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারও বন্ধ ছিল।
দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কাজ স্থগিত
জিনাত হুদা ঘোষণা করেছেন যে যাচাইকরণ স্কিম বাতিল না হওয়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ কাজের স্থগিতাদেশ অব্যাহত থাকবে। “আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই সম্পূর্ণ কাজ স্থগিত থাকবে। বৈষম্যমূলক স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রত্যাহার, শিক্ষকদের জন্য একটি স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন এবং প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি,” তিনি বলেছিলেন।
দেশব্যাপী বিশ্ববিদ্দালয়গুলোর কর্মবিরতি
সারাদেশে ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কাজ স্থগিত করা হয়েছে এবং আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।