ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম পর্বে সারাদেশে ১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে এবং চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। মানুষ ভোট দেওয়ার বিষয়ে উত্সব বোধ করছে, তবে এই ভোটকে ঘিরে এক-তৃতীয়াংশের উপজেলায় সংঘর্ষের সম্ভবনা রয়েছে।
নির্বাচনের প্রথম পর্বে ১৩৯টি উপজেলায় ই কোটি ৮৫ লাখের ভোটার রয়েছে। তাদের মধ্যে, এক কোটি ৪৩ লাখের বেশি পুরুষ ভোটার, প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ মহিলা ভোটার এবং ১৭০ জন ভোটার যারা হিজরা (তৃতীয় লিঙ্গ)।
গত এক সপ্তাহে মধ্যে অন্তত ১৫টি উপজেলায় মারামারি হয়েছে পরিষদ নির্বাচনের ভোট কেন্দ্রেকে নিয়ে। ভোটের দিন আরও ২৫টি থেকে ৩০টি উপজেলায় মারামারির আশঙ্কা রয়েছে।
সামগ্রিকভাবে, এর মধ্যে প্রায় ৫০টি উপজেলায় মারামারি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু রাখতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও সরকার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রার্থীদেরকে সরকারের কঠোর নিয়মকানুন মেনে চলতে বলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও এ বিষয়ে সভাপতির বার্তা স্থানীয় নেতাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।
কিছু কিছু উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতারা যারা উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ভোট প্রক্রিয়া তদারকির দায়িত্বে আছেন তাদের ভোটকে প্রভাবিত করার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন গত ২১ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম পর্বের তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল অনুযায়ী ২২ এপ্রিল প্রার্থীদের নির্বাচন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময়সীমার পর ১ হাজার ৬৩৫ জন প্রার্থীর নাম নিশ্চিত করা হয়েছে। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৬২৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছেন।